মিজানুর রহমান -স্টাফ রিপোর্টার
কটিয়াদী ( কিশোরগঞ্জ)
কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে চাতল বাগহাটা স্কুল এন্ড কলেজের প্রধান শিক্ষক ও ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ এবিএম মাহবুবুল আলম সিদ্দিকী বরখাস্ত হওয়ার সাড়ে ৫ বছর পর আদালতের নির্দেশে যাবতীয় বেতন ভাতাদিসহ স্বপদে পূণরায় দায়িত্ব ফিরে পেলেন। বৃহস্পতিবার বিকেলে কটিয়াদী উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে প্রতিষ্ঠানের চলতি দায়িত্বে থাকা ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. হেমায়েত হোসেন দায়িত্ব বুঝিয়ে দেন।
জানা যায়, চাতল বাগহাটা স্কুল এন্ড কলেজের তৎকালীন সভাপতি মো. আশরাফ আলীর অনৈতিক কাজের সাথে সম্মতি না দেয়ায় প্রধান শিক্ষক ও ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ এবিএম মাহবুবুল আলম সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে কাল্পনিক ও ভিত্তিহীন অভিযোগ এনে ২০১৯ সনের২২ নভেম্বর তারিখে তাঁকে বরখাস্ত করেন । অন্যায়ভাবে প্রধান শিক্ষককে বরখাস্ত করায় তিনি চাকুরী ফিরে পাওয়ার জন্য হাইকোর্টে একটি রিট পিটিশন দায়ের করেন। রিট পিটিশন দাখিলের পর মহামান্য হাইকোর্ট বিভাগ ৮ জানুয়ারি ২০২৫ তারিখের রায় ও নির্দেশনার আলোকে যাবতীয় বকেয়া বেতন ভাতাদি ও অন্যান্য সুবিধাদিসহ স্বপদে পূন:বহালের আদেশ দেন। হাইকোর্টের আদেশের প্রেক্ষিতে গত ২০ মার্চ ২০২৫ তারিখে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, ঢাকা এর চেয়ারম্যানের আদেশক্রমে কলেজ পরিদর্শক প্রফেসর রিয়াজুল হকের স্বাক্ষরিত পত্রের আলোকে কটিয়াদী উপজেলা নির্বাহী অফিসার বৃহস্পতিবার প্রধান শিক্ষককে পূন: বহালের ব্যবস্থা করেন।
চাতল বাগহাটা স্কুল এন্ড কলেজের প্রধান শিক্ষক ও ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ এবিএম মাহবুবুল আলম সিদ্দিকী জানান, ২০১৯ সনে অন্যায়ভাবে আমাকে প্রতিষ্ঠান পরিচালনা কমিটি বরখাস্ত করেন। আমি ন্যায়বিচারের আশায় চাকুরী ফিরে পাওয়ার জন্য হাইকোর্টে একটি রিট পিটিশন দায়ের করি। মহামান্য হাইকোর্ট আমার আবেদন বিবেচনা করে বকেয়া বেতন ভাতাদি ও অন্যান্য সুবিধাদিসহ পূন: বহালের আদেশ দেন। আমি বৃহস্পতিবার উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মাধ্যমে পূণরায় স্বপদে দায়িত্ব বুঝে নিয়েছি।
কটিয়াদী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মাঈদুল ইসলাম জানান, মহামান্য হাইকোর্টের আদেশের প্রেক্ষিতে চাতল বাগহাটা স্কুল এন্ড কলেজের বরখাস্ত অবস্থায় থাকা প্রধান শিক্ষক ও ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ এবিএম মাহবুবুল আলম সিদ্দিকীকে বকেয়া বেতন ভাতাদিও অন্যান্য সুবিধাদিসহ পূন: বহাল করা হয়েছে।
মিজানুর রহমান -স্টাফ রিপোর্টার
কটিয়াদী( কিশোরগঞ্জ )
তারিখ: ১২-০৪-২০২৫