খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ এর আয়োজনে রবিবার ১২ জানুয়ারী, বিকাল সাড়ে ৪ টায়, নগরীর ২৪ নং ওয়ার্ডের ২ নং কাশেম সড়ক, চৌরাস্তার মোড়ে খুলনা সদর থানার ওসি মনির উল গিয়াস এর সভাপতিত্বে এবং সেকেন্ড অফিসা এস, আই নান্নু মন্ডল এর সঞ্চালনায় আইন শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা বিষয়ক সুধী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকেন এডিসি সাউথ মোঃ হুমায়ুন কবির। যদি সমাবেশে সার্বিক পরিচালনা করেন খুলনা সদর থানার অন্তর্গত নিরালা ফাড়ির ইনচার্জ রিকাবুল ইসলাম। উক্ত সমাবেশে দুইটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়।
পুলিশের প্রতি প্রত্যাশা:
নিরপেক্ষ ও পেশাগত আচরণ চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় দৃঢ় প্রত্যয় তথ্যদাতার পরিচয় গোপন রাখা, নাগরিকের প্রতি যত্নশীল হওয়া, মানবিক ও ভালো আচরণ
সততা ও নৈতিকতা আস্থা অর্জন কর্তব্যনিষ্ঠা, আইন শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা বিষয়ক।
জনগনের প্রতি প্রত্যাশা:
পুলিশ ও জনগণ পরস্পরের সহায়ক ভিন্ন মতের প্রতি সহনশীলতা পুলিশের কাজে সহযোগিতা নাগরিক দায়িত্ব পালন পারস্পরিক সহমর্মিতা তথ্য দিয়ে সহায়তা
আইন মেনে চলা সচেতনতা।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, ৫ আগস্ট এর আগে যে ঘটনা ঘটেছে পুলিশের কিছু কিছু দুষ্কৃতি পুলিশ ফ্যাসিস্ট সরকারের নির্দেশক্রমে। তারা অনেকেই ভয় পালিয়ে গিয়েছে এবং কিছু কিছু পুলিশ সদস্য জেলখানায় বন্দী হয়ে তাদের প্রায়শ্চিত্ত ভোগ করছেন। পুলিশ জনগণের বন্ধু। জনগণ পুলিশের বন্ধু। এই আশা নিয়েই পুলিশ তার কার্যক্রম পরিচালনা করবেন। আর যেন কোন পুলিশ সদস্যদের দ্বারা কোন মায়ের কুল খালি না হয়। তিনি এলাকাবাসীর উদ্দেশ্যে বলেন, এলাকাবাসীর উদ্যোগে সচ্ছল অল্প বয়সের নাইটগার্ড রাখবেন এবং এলাকায় বিভিন্ন জায়গায় সিসি ক্যামেরার ব্যবস্থা করার পরামর্শ তিনি দেন। খুলনা সদর থানার ওসি সভাপতির বক্তব্যে তিনি বলেন, গত ৫ আগস্টের পূর্বে যে ঘটনা ঘটেছে তার জন্য পুলিশ এবং জনগণের মধ্যে একটা দূরত্ব সৃষ্টি হয়েছে। যার পরিপেক্ষিতে বর্তমানে বিভিন্ন সন্ত্রাসী কার্যকলাপ, চুরি, ছিনতাই, কিশোর গ্যাং সহ নগরীতে অপকর্মের ঘটনা ঘটছে। এই অপকর্মের ঘটনা কমানোর জন্য এবং পুলিশ এবং জনগণের মধ্যে বন্ধুত্ব তৈরি করার জন্য শুধু সমাবেশ। বিগত দিনের যে ঘটনা ঘটেছে তা অপেক্ষা করে বর্তমানে বন্ধুত্ব স্বরূপ আচরণের মাধ্যমে জনগণ এবং পুলিশ সদস্য একত্রিত হয়ে দেশকে রক্ষা করি।
সাধারণ জনগণের মধ্যে রিপন শিকদার বলেন, জুলাই ২৪ এর যে ঘটনা ঘটেছে তাতে সরকার এবং পুলিশ বুঝেছে জনগণের উপরে কিছু নেই। এদেশ আমাদের এই দেশকে রক্ষা করার দায়িত্ব আমাদের এই দেশকে রক্ষা করার দায়িত্ব সাধারণ জনগণের। বাংলাদেশের পুলিশ সদস্যদের চাইতে সাধারণ জনগণের সংখ্যা বেশি। তারই পরিপ্রেক্ষিতে শুধুমাত্র পুলিশ সদস্যরা দেশকে রক্ষার দায়িত্ব নিলে হবে না, সাধারণ জনগণের একত্রিত হয়ে বাংলাদেশকে রক্ষা করার দায়িত্ব কাঁধে নিতে হবে। পুলিশের উপর একটা অনুরোধ যেন তারা বাংলাদেশের কোন রাজনৈতিক ব্যক্তিদের দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে জুলাই ৩৬ এর মত কোন ঘটনা না ঘটায়।
সমাবেশ শেষে এডিসি সাউথ মোঃ হুমায়ুন কবির ট্রাফিক বাংলাদেশের প্রচলিত ট্রাফিক আইন সম্পর্কে তথ্য দেন এবং সাধারণ জনগণের মাঝে লিফলেট বিতরন করেন।
সমাবেশে খুলনা সদর থানা, খুলনা নিরালা ফাঁড়ির কর্মরত পুলিশ সদস্যরা এবং ২ নং কাশেম সড়কের সাধারণ জনগণ উপস্থিত ছিল।